Posts

Showing posts from 2016

মন আজ ছন্দহীন

বইয়ের তাকটা ঝাড়তে গিয়ে পুরোনো ডাইরিগুলোতে হাত পড়লো বহুদিন পর ।   সেই স্কুল আর কলেজের শুরুর দিক ।   তখন তরুণ আনন্দ ধরা দিত ছন্দে , উতলা যন্ত্রনা হয়ে যেত কবিতা । কখনো আকাশ - বাতাস , কখনো ছেলেবেলার কথা , কখনো বন্ধুত্ব , কখনো বা প্রেম কিংবা বিরহ , যখন যা ছুঁয়ে গেছে মন ধরা আছে তাই পাতায় পাতায় কবিতা আর ছন্দের তালে মিলে । বেখেয়ালে অনেক্ষন উল্টে পাল্টে দেখলাম । কোথায় হারিয়ে গেলো সেই মন , সেই ছন্দ , আনমনা তবু উতলা , বিরহী তবু শান্ত সেই মানুষটা ? কেন খুঁজে পাইনা তাকে আজ ? পাতার পর পাতা যার ভরে যেত নিজের অজান্তে তারই আজ লিখতে গিয়ে ভাষার কেন অভাব ? কোন এক অজানা রোগে যেন নিঃশব্দে শেষ করে দিয়েছে সবটুকু ক্ষমতা । নিজের লেখা পরে নিজেই চমকে উঠছি আজ ।   সত্যিই এ আমার লেখা !! এমন সুন্দর ছন্দ মিলিয়ে ছিলাম ! যেন    মনে  হয় তখনই বড় ছিলাম , সময় আর ডিগ্রির সাথে সাথে দিনদিন ছোট হয়ে গেছি . তাই আজ আর সেই ছন্দ নেই , নেই সেই সাবলীল ভাষা । হয়তো আজ আর আমাদের অনুভূতিগুলোই সহজ স্বাভ

ক্ষয় আরও গভীরে

নতুন কোয়ার্টারে এসে ঝাড়পোঁছ চলছিল। হঠাৎই বাঙ্কের উপর থেকে নেমে এল বেশ কিছু পুরনো কাগজপাতি। আগে যারা থাকত তারাই ফেলে গেছে হয়তো। কি সব একগুচ্ছ মেয়েলি ঘর সাজানো, সাজগোজ আর রান্নার ন্যাকা ন্যাকা ম্যাগাজিন। কি করে যে মানুষ এসব দিনের পর দিন পড়ে !! আরও ছিল কিছু আবোলতাবোল কাঁচা হাতের লেখা ভরা ডাইরি। মাঝে মাঝে গোল, চৌকো, ত্যাবড়া-ধ্যাবড়া লাইন টানা ছবি আঁকা। হয়তো কোন বাচ্চা ছিল, যে নিজের মত সাহিত্য চর্চা করেছিল এগুলোতে। বেশির ভাগ পাতাই তার খালি। ডাইরিগুলো তাই আলাদা করেদিলাম; কাজের মেয়েকে দিয়ে দেব। তার ছেলেমেয়েগুলো ছোট, স্কুলে পড়ে। ফাঁকা পাতাগুলো ওদের কাজে লেগে যাবে। সব কিছুর মাঝ থেকে বেরিয়ে এল একটা খাতা; বেশ কিছু পাতা মাঝে মাঝে ছেঁড়া। যেন কেউ রেগে খাবলে ছিঁড়ে নিয়েছে। তবু বাকিটুকু পড়া যাচ্ছে। বেশ সুন্দর ঝকঝকে হাতের লেখা। শুরুর দিকের পাতাগুলো মলিন হয়ে এলেও অস্পষ্ট নয়। হাল্কা চোখ বুলিয়ে বুঝলাম এ খাতা শুধুই খাতা নয়; এই খাতা এক জীবনী, এক চলচ্চিত্র - অমুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র। তাই হয়তো যাওয়ার সময় পিছনে ফেলে গেছে। বাকি সবকিছু আবর্জনাতে গেলেও এই খাতাটি যত্ন করে তুলে রেখেদিলাম পরে পড়ব বলে। ********