Posts

Showing posts from 2012
খেয়ালে বেখেয়ালে রচিত কিছু টুকরো টুকরো কথা পড়ে ছিল এদিকে ওদিকে. কোনোটা অঙ্ক খাতার শেষে তো কোনোটা ডায়রির ফাঁকা পাতার এক কোণে. আবার কোনোটা হয়ত হঠাত খুঁজে পেলাম পুরো কাগজ বেচতে গিয়ে. এমনই কত টুকরো যে ছড়িয়ে থাকে আমাদের জীবনে সে খবর কে আর রাখে! আজ মনে হলো সেই সব টুকরো গুলো একবার জোড়ার চেষ্টা করলে কেমন হয়? অবহেলায় পড়ে থাকা মান অভিমান, আবেগ, ভালোলাগা, কিম্বা শুধুই খাম খেয়ালিপনার এই সব সৃষ্টি গুছিয়ে রাখলে মন্দ হয় না! আমার পাগলামি নাহয় ভরা থাকলো একটা ছোট্ট ডায়রিতে. তাই বসেছি আজ সেই সব টুকরো টাকরা লেখার সংকলনে. খুঁজে পাওয়া ছেড়া পাতাদের ভিড়ে ভ্যাবলা হয়ে বসে ভাবছি শুরুটা করি কথা থেকে!! সেই ছোট বেলার পুচকি কবিতা দিয়ে? নাকি ওই যে ৩ লাইন লিখে আর না লেখা অসমাপ্ত আঁচরটা হবে মুখপাত্র! confusion !! confusion !!  নাহ. আর একটু খুঁজে দেখি আর কি কি আছে এই আবর্জনার মাঝে.
সেই টুকরো গুলো গুছিয়ে নেওয়ার কাজটা শুরু করতে পারলাম শেষ অব্দি। তবে এখনো অনেক অনেক কিছু পরে আছে অগোছালো। সময় লাগবে অনেক. তবু শুরুটা হোক। কি বল তোমরা? পাতাগুলো জোড়া লাগিয়ে আবার একটা নতুন ডায়রি বানানোর চেষ্টাটা  দেখো না একবার উল্টে পাল্টে! যদি ভালোলাগে!  আর যদি না লাগে আমায় আরো ভালো লিখতে একটু সাহায্য করো  ...............................

অশ্রু

নিঃশব্দে   ঝরে পরা বিন্দু বিন্দু মানিক অথবা আর্তনাদের গঙ্গা - যমুনা , কোনটাই   নয় অভিপ্রেত । তবু মানুষ কাঁদে ।   সেই   জন্ম   লগ্ন   থেকে শুরু   হয়   এই   সখ্যতা ।   কারণে   অকারণে দুই   চোখে জড়িয়ে থাকার নিদারুন প্রতিশ্রুতি ।   ছোটোবেলার   কথা   না   বলতে   পারার   বয়েসে চোখে জল   আসে শরীরের কষ্টে , কারণ তখন থাকেনা বোঝানোর ভাষা ।   শুধু   আর্তনাদের বুলি টুকুই হয় ভরসা । খিদে পেলে   কান্না , তেষ্টা   পেলে   কান্না , গরম   করলে কান্না ,   শীত   করলেও তাই । সময় গড়ায় । মানুষ বড়   হয় ।   ভাষা   শেখে ।   শুরু   হয় বাগবিতন্ডা । কি , কেন , কোনটা , কখন , কি করে -- আরো   কত   শত   প্রশ্নের   ঝুলি ।   উত্তর   কখনো   জোটে   কখনো জোটে না ।   সব কিছু জানার আর   করার ইচ্ছায়   মন   তখন   দামাল । রাশ   টেনে   ধরতে   বড়দের   শাসন , আর পাল্লাদিয়ে ছোটদের কান্না আর অভিমান । চোখের   জলের   ভাষায়   সব   প্রতিবাদ   গোপন তবু প্রকট । এই   কান্নায়   তখন   নিজের   দাবি প্রতিষ্ঠা   করার   অমোঘ অস্ত্র ।   পরীক্ষায়   ফল খারাপ ।   লুকিয়ে ঘরের কোণে ঝরঝর ঝর্না আকুল ধারায় ।   কাকেই বা বলবে বল! তাই   নিজেকেই ন

নয়নতারা

বাগানের কোণে একটা ছোট নয়নতারা গাছ । কখন যে কি ভাবে গজাল কেউ জানে না । সাজান বাগানে গাছটা যেন এক আপদ । আজ এদিকে ঝোকে তো কাল ওদিকে । এক টানে তুলে ফেলে দিলাম তাই একদিন । ভাবলাম আপদ গেল । একি !! মাস ঘুরতে না ঘুরতেই দেখি আবার এককোণে উঁকি মারছে সেই সাদা নয়নতারা । উফফ !! কি বিপদ বল দেখি ? বিরক্ত হয়ে আবার তুলে ফেলতে গেলাম । কিন্তু টান মারতে গিয়েও থমকে গেলাম । এক আজানা মায়া । থাকলই না হয় এক পাশে ! সুন্দর লাগছে সাদা ফুলগুলো । কেন মিছে আঘাত হানা ! থাকই নাহয় , একটু কেটে ছেঁটে এককোণে । দিন গেল , মাস গেল , বছর ঘুরে গেল । নিতান্ত অবহেলায় আর অযত্নে পরে রইল সেই নয়নতারা বাগানের কোণে । গড়িয়ে আসা জলেই তার জীবন , বেশি ডাল - পালা মিললেই পড়ে কোপ । তাবু সে বেঁচে থাকে নিজের চেষ্টায় । সময়ের সাথে বদলে যায় কতকিছুই । বদলে গেল অবহেলাও । বাগানের মরসুমি গাছগুলির যাওয়া আসার মাঝে , চিরন্তন এই সাদা নয়নতারা । বিরাম নেই তার ফুল ফোটানোর । গোধূলি আলোয় সাদার নির্মলতা মন কেড়ে নেয় । নিজের গুণেই মনের কোণে কখন যে জায়গা করে নিল বুঝতেই পারলাম না । কখন যে রোজ খেয়াল রাখা শুরু করলাম নিজেই জানি না । জানি না কখন দিলাম তাকে অব

শপথ

Image

পরিনতি

Image

আবদার

Image

নীরব

Image