Posts

Showing posts from April 30, 2017

নীরবে দূরে

[জীবনের অনেকটা পথ পেরলাম। অনেক মানুষ, অনেক ঘটনা। সব অভীজ্ঞতা এক রকম নয়। তবে কিছু কিছু ভীষন বাস্তব। তেমনই এক অভীজ্ঞতার কথা আজ লিখছি। লিখছি অন্য একজনের বকলমে, তবে নিজের মতামতের ককটেলটাও রইল fused হয়ে। আমি জানি অনেকেই বা সবাই নিজের জীবনে এর প্রতিফলন কিছুটা হলেও খুঁজে পাবেন। শুধু সৎ সাহসের অভাবে কেউ স্বীকার করব না আমার। তাই না? ]  একদিন খুব মন খারাপ ছিল। চুপ করে বসে ছিলাম ছল ছল চোখে। আদর করে সেদিন কেউ মাথায় হাত রেখেছিল, আমি বলেছিলাম সরিয়ে নিতে। ছিটে ফোঁটা বৃষ্টিকে আঝোর ধারায় ঝরাতে চাই নাই তার সামনে। একদিন যখন অসহায় যন্ত্রনায় চুপ করে ছিলাম, দুহাতে আঁকড়ে ধরেছিল সে। সেদিন জোর করে ছাড়িয়ে নিতে পারি নাই নিজেকে। যা চেয়েছি যেমন ভাবে সব কিছু দিয়েছে যতটা পেরেছে। মনে রেখেছে কখন কি ভাল লাগে, কিসে শান্তি আসে আমার মনে। কষ্টের যে কদিন পাশে থেকেছে সব দিয়েছে।  কষ্ট পেতে দেখলেই কষ্ট কমাতে চায় তবু ভুলে যায়, যখন দেখতে পায় না কষ্ট তখনও হয়। আরো বেশী করে হয়। কিন্তু সে নিজের কষ্টের সাথে নিজে যুদ্ধ করে, ভুলে থাকার চেষ্টা করে, অন্য দিকে মন ভাসিয়ে দিয়ে দূরে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। কে

ভুলবো না রে

Image
তুই কি আমার সঙ্গে যাবি?                                        না তো! যখন আমি থাকবো না ...                                        তোমায় মনে রাখবো না। কষ্ট হবে না একটুও কি তোর ? কেন কষ্ট বুঝি তোমার হবে?                                         হয়তো হবে! তুমি তো তোমার ঘরেই যাবে!                                          তাও বা ঠিক! তবে নিশ্চয়ই ভুলেই যাবে! সত্যি বলতে, ভুলবো না রে, লুকিয়ে নেবো মনের পাড়ে; আবছা এক আদর দিয়ে। না পাওয়ার যন্ত্রণাকে - ভুলে যাওয়ার নাটক করে; তবু তোকে ভুলবো না রে। ****************************************** তুই কি আমায় ভুলে গেলি?                                      না তো!  তবে যে আর ডাকিস না?...                                       ডাকলে তুমি আসবে না।  ইচ্ছে হয় না একটুও কি তোর? ইচ্ছে হলেও দাম কি দিতে?                                       দিতাম তো।  দিলেই বা কি! সাথী কি হতে?                                          তাও বা ঠিক! জানি, তুমি সেই সরেই যেতে।  সরে থাকা এতোই সোজা?  নিজের মন নিজের বোঝা।  আনমনা দ
অর্কূট জমানাতে এটা লিখেছিলাম। মনে হয় status এ দিয়েছিলাম বা কিছু হবে। হ্ঠাৎ আজ google plus এ চোখে পড়ল।  স্বপ্ন দেখার স্বপ্নটুকু থাক  এদিকে চলার মন্ত্র দিয়ে তাতেই  ফুটিয়ে দেব দিনের আলোয় চাঁদ; মনটা থাকুক শিশুর মতো সরল  চোখে থাকুক নিষ্পাপ সেই হাসি  ভয় না পাওয়া সাহস দিয়ে আমি  বাসব ভালো সবার থেকে বেশী।  প্রায় ১০টা বছর পেরিয়ে গেছে। লেখাটা আছে, আমিও আছি। কিছুটা পথ পেরিয়ে এলেও, অনেক পথ চলা আজও বাকী।অনেক স্বপ্নই আজো স্বপ্ন শুধু। কিছু স্বপ্ন হয়তো ছুঁয়েছি। তাই দিনের আলোয় চাঁদ দেখে এসেছি কার্তিকস্বামীর পথে। পুব আকাশের সদ্য ওঠা রাঙ্গা সূর্য্যের সাথে পশ্চিমে মায়াবী শশীকলা। সারাটা পথ সাথ দিল দুজনেই। একটু হলেও সাহস আছে বলেই হয়তো এই trekটা করতে পেরেছি। ভয়কে জয় করেছি বলেই হয়তো হিমালয়ের বুকে একাকিত্বকে বন্ধু করতে পেরেছি।  তবু সবার মতই দোষে গুনে আমিও এক অতি সাধারণ মেয়ে। মনে কতটা শৈশব আছে জানি না, সারল্য বা জটিলতার খবর লোকে বলবে। নিজের মত করে আপন করে নিতে সবাইকে তো পারি না! শুধু, যাদের মনে ধরে তাদের আদরে রাখতে চেষ্টা করি। চাই বাসতে ভালো unconditionally. জয় করতে চাই
দূর থেকে ভালোবাসা অনেককেই যায়; আকাশ, পাহার, ফুল, পাখি...। কিন্তু আমি মানুষ, আমি নারী; আমার মন আছে। যদি আমায় ভালোবাসতে হয় তো পাশে থেকে, কাছে থেকে ভালোবাসতে হবে; আমার মনকে বুঝতে হবে। 

আমার কথা

কিছু কথা মনের থেকে  কিছু কথা তোদের  কিছু কথা এদিক ওদিক  কিছু কথা পথের।  কিছু ছিল মনের কোণে  কিছু দিলি তোরা  কিছু পেলাম ভালোবেসে  কিছু জলে ভরা। 

তুরীয় অবচেতন

Image
হ্ঠাৎ  বুঝলাম আনমনা ছিলাম,  আর কিছু নেই মনে  অভ্যাসে গালে হাত, ভিজে কেন!  কিসের বেদনা অকারণে!  বোকা বোকা একা বোকা নিঃশ্চুপ এ কেমন পাগল আমি?  না চেয়েও অজানা ভাবনায় ভোর  এ কোন অজানা তুমি?  মন জুড়ে ঝিমধরা সন্ধ্যার ঘটা  কি যেন একটা ঘোর  নিরব চেতনে তুরীয় অবচেতন  স্বশব্দে নাম নেয় তোর।