নীরবে দূরে


[জীবনের অনেকটা পথ পেরলাম। অনেক মানুষ, অনেক ঘটনা। সব অভীজ্ঞতা এক রকম নয়। তবে কিছু কিছু ভীষন বাস্তব। তেমনই এক অভীজ্ঞতার কথা আজ লিখছি। লিখছি অন্য একজনের বকলমে, তবে নিজের মতামতের ককটেলটাও রইল fused হয়ে। আমি জানি অনেকেই বা সবাই নিজের জীবনে এর প্রতিফলন কিছুটা হলেও খুঁজে পাবেন। শুধু সৎ সাহসের অভাবে কেউ স্বীকার করব না আমার। তাই না? ] 

একদিন খুব মন খারাপ ছিল। চুপ করে বসে ছিলাম ছল ছল চোখে। আদর করে সেদিন কেউ মাথায় হাত রেখেছিল, আমি বলেছিলাম সরিয়ে নিতে। ছিটে ফোঁটা বৃষ্টিকে আঝোর ধারায় ঝরাতে চাই নাই তার সামনে। একদিন যখন অসহায় যন্ত্রনায় চুপ করে ছিলাম, দুহাতে আঁকড়ে ধরেছিল সে। সেদিন জোর করে ছাড়িয়ে নিতে পারি নাই নিজেকে। যা চেয়েছি যেমন ভাবে সব কিছু দিয়েছে যতটা পেরেছে। মনে রেখেছে কখন কি ভাল লাগে, কিসে শান্তি আসে আমার মনে। কষ্টের যে কদিন পাশে থেকেছে সব দিয়েছে। 
কষ্ট পেতে দেখলেই কষ্ট কমাতে চায় তবু ভুলে যায়, যখন দেখতে পায় না কষ্ট তখনও হয়। আরো বেশী করে হয়। কিন্তু সে নিজের কষ্টের সাথে নিজে যুদ্ধ করে, ভুলে থাকার চেষ্টা করে, অন্য দিকে মন ভাসিয়ে দিয়ে দূরে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। কে কাকে ঠকাতে চাইছে ভেবে হাসি পায়। আমিও এমটাই ছিলাম, হয়তো এখনও কিছুটা আছি। যেটা না পাওয়ার সেটা ভুলতে অন্য কিছু নিয়ে মাতি। কিন্তু এই 'না পাওয়াটার' সাথে কোন দ্বন্দ্ব নেই, তাই ভুলতেও চাই না। এটা এক অমর সম্পর্ক আমার কাছে। তাই আঁকড়ে থাকতে চাই সারা জীবন। দূর থেকে বা পাশে থেকে সেটা সময়ের উপর। কিন্তু করতে পারি না ভোলার নাটক। আশা করি একদিন সেও বুঝবে। বুঝবে সব সম্পর্ক এক ছন্দে বাঁধা নয়। বুঝবে আমার দুজন দুজনের শুধুই ভালোবাসা, স্নেহ, প্রনয় আর শান্তির আশ্রয়। 

Comments

Popular posts from this blog

ক্ষয় আরও গভীরে

লক্ষ্মণ রেখা

নয়নতারা